ঠিক যেমন আমরা পাড়ার মুদিখানা দোকান বা সুপার মার্কেটে যাই আমাদের প্রতিদিনের কেনাকাটা করার জন্য, একইভাবে আমরা শেয়ার বাজারে / মার্কেটে কেনাকাটা করতে যাই ইক্যুইটি বা কোম্পানির শেয়ার কেনার জন্য।
শেয়ার মার্কেট আমরা শেয়ারের লেনদেন করার জন্য গিয়ে থাকি, সহজ ভাষায় লেনদেন অর্থ কেনা বেচা। যেকোনো উদ্দেশ্যে, আপনি স্টক মার্কেটের মাধ্যমে লেনদেন না করে আপেল / টেসলার মতো পাবলিক কোম্পানির শেয়ার কিনতে / বিক্রয় করতে পারবেন না ।
শেয়ার কি? শেয়ার মার্কেট জানার আগে চলুন জেনেনি শেয়ার কি জিনিস, একটি শেয়ার একটি সংস্থার মালিকানার একটি একক ইউনিট। এটি মূলত একটি কোম্পানির মূল্যের একটি বিনিময়যোগ্য অংশ যা বিভিন্ন বাজারের কারণের উপর নির্ভর করে উপরে বা নীচে ওঠানামা করতে পারে। শেয়ারগুলি স্টক হিসাবেও পরিচিত।
শেয়ার মাকেটের মূল উদ্দেশ্য হ’ল আপনাকে আপনার লেনদেনের সুবিধার্থে সহায়তা করা। সুতরাং আপনি যদি একটি শেয়ারের ক্রেতা হন, শেয়ার বাজার আপনাকে বিক্রেতার সাথে লেনদেন করতে সহায়তা করে এবং তদ্বিপরীত।
কিন্তু মুদিখানা দোকান বা সুপার মার্কেটে এর মতো শেয়ার মার্কেট ফিজিক্যাল দোকান নয়, এটি শুধু ইলেকট্রনিক মাধম্মে উপলব্ধ। আপনি শেয়ার বাজারে ইলেক্ট্রোনিকাল অ্যাক্সেস পেতে পারেন আপনার কম্পিউটার অথবা মোবাইল আপ্প এর সাহায্যে আপনার লেনদেন (শেয়ার কেনা বেচা) করতে পারেন ।
স্টক ব্রোকার – একটি স্টক ব্রোকার এমন একটি কর্পোরেট সত্তা যার স্টক এক্সচেঞ্জ এ লাইসেন্স থাকে শেয়ার কেনা এবং বিক্রয় করার জন্য। স্টক ব্রোকার আপনার স্টক এক্সচেঞ্জের প্রবেশদ্বার। এছাড়াও, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি একটি স্টক ব্রোকার মাধ্যমে শেয়ার বাজারটি অ্যাক্সেস করতে পারেন।
শেয়ার কিভাবে কিনতে হয়?
স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করতে গেলে আপনার একটি স্টক ব্রোকার এর কাছে ট্রেডিং একাউন্ট থাকা দরকার। একটি ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট আপনাকে বাজারে আর্থিক লেনদেন করতে দেয়। একটি ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট হল ব্রোকারের সাথে একটি অ্যাকাউন্ট যা বিনিয়োগকারীকে সিকিওরিটি কিনতে/বিক্রি করতে দেয়।
শেয়ার বাজারে অংশগ্রহণকারী:
শেয়ার বাজার বিভিন্ন পটভূমি থেকে ব্যক্তি এবং কর্পোরেশনকে আকৃষ্ট করে। যদি কেউ শেয়ার বাজারে লেনদেন করে তাকে আমরা বাজারের অংশগ্রহণকারী বলতে পারি । বাজারের অংশগ্রহণকারীকে বিভিন্ন বিভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা যায় । বাজার অংশগ্রহণকারীদের কিছু বিভাগ নিচে দেওয়া হোলো :
১. ডোমেস্টিক রিটেল পার্টিসিপেন্ট – এরা আপনার এবং আমার মত মানুষ যারা বাজারে লেনদেন করে
২. এনআরআই এবং ওসিআই – এরা ভারতীয় বা ভারতীয় অরিজিন কিন্তু ভারতের বাইরে অবস্থিত
৩. ডোমেস্টিক ইনিস্টিটিউশন – এগুলি দেশ ভিত্তিক বৃহৎ কর্পোরেট সংস্থা। সর্বোত্তম উদাহরণ ভারতের এলআইসি কোম্পানি ।
৪. ডোমেস্টিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি (এ.এম.সি): এই বিভাগে সাধারণ অংশগ্রহণকারীরা হোলো এসবিআই মিউচুয়াল ফান্ড, ডিএসপি ব্ল্যাক রক, ফিডেলিটি-র মতো মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থাগুলি হবে
৫. ফরেন ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টর – দেশের বহির্গত কর্পোরেট সংস্থা। এগুলি হতে পারে বিদেশী এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, হেজ ফান্ড এবং অন্যান্য বিনিয়োগকারীরা
এই অধ্যায় থেকে আমরা যেটি জানতে পারলাম:
১. আপনি যদি ইক্যুইটিতে/শেয়ার লেনদেন করতে চান তবে আপনাকে যেতে হবে শেয়ার মার্কেটই
২. আপনি শেয়ার বাজারে ইলেক্ট্রোনিকাল অ্যাক্সেস পেতে পারেন অথবা ব্রোকার এর সাহায্যে লেনদেন করতে পারেন
৩. শেয়ার বাজারে বিভিন্ন ধরণের অংশগ্রহণকারী লেনদেন করে থাকে