পণ্যসামগ্রী এবং পরিষেবার ওপর অপ্রত্যক্ষভাবে যে ট্যাক্স বসে সেটাই হলো GST
(Goods and Service TAX) এর আগে ভ্যাট, কাস্টমস ডিউটি সেন্ট্রাল এক্সসাইজ ডিউটি, সার্ভিস ট্যাক্স ইত্যাদি যে ১৭ রকমের অপ্রত্যক্ষ ট্যাক্স ছিল সবগুলিকে

একসঙ্গে করে জিএসটি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে ২০১৭ সালের পয়লা জুলাই থেকে। কোনো জিনিসের উৎপাদন ও সরবরাহের ওপর প্রতিটি রাজ্যের আলাদা আলাদা কর ব্যবস্থার ফলে ভারতীয় অর্থনীতিতে যে বিরূপ প্রভাব পড়েছিল তা বন্ধ করতে এবং জটিল ট্যাক্স ব্যবস্থাকে সরল করতেই জিএসটি ব্যবস্থার প্রচলন করা হয়।

এখন প্রশ্ন হলো জিএসটি কাদেরকে দিতে হবে। যেকোনো ব্যক্তি যার বছরে ২০ লক্ষ বা তার বেশি অর্থের লেনদেন হয় তাকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে জিএসটি দিতে হবে, অন্য রাজ্যের সঙ্গে লেনদেন করলে সেক্ষেত্রে জিএসটি লাগবে (তা ২০ লক্ষের কম বা বেশি যত টাকারই হোক না কেন) এছাড়াও অনলাইন জিনিসপত্র কেনাবেচা করলে জিএসটি লাগবে।

GST-র ধরন:
এই TAX তিন প্রকেরের হয় –
১) কেন্দ্রের বা সেন্ট্রাল GST বা CGST
২) রাজ্যের বা স্টেট GST বা SGST
৩) সম্মিলিত কর বা ইন্টিগ্রেটেড GST বা IGST

এবার দেখে নিই জিএসটি কাউন্সিল কোন জিনিসের ওপর কত পারসেন্ট জিএসটি ধার্য করেছে। জিএসটি কে পাঁচটি স্ল্যাবে ভাগ করা হয়েছে: ০%, ৫%, ১২%, ১৮% এবং ২৮% প্রথম স্ল্যাবে সেসব নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্য পড়ে যেগুলিতে জিএসটি লাগে না যেমন দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য (যা প্যাকেটবন্দি করা হয় নি), মাছ, মাংস, ফলমূল ইত্যাদি।

৫% জিএসটির মধ্যে পড়ছে সমস্ত প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্য, চা, কফি, মশলা, কাজু, কিশমিশ, আখরোট ইত্যাদি। অধিকাংশ প্রয়োজনীয় দ্রব্য ১২% জিএসটির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলেও বিলাসদ্রব্য, আমোদপ্রমোদ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ১৮% জিএসটি রাখা হয়েছে।

নেশা জাতীয় দ্রব্য, কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস, মার্বেল গ্রানাইট, সিমেন্ট ইত্যাদি ২৮% জিএসটির অন্তর্গত। পেট্রোল, মদ এবং বিদ্যুৎ ইত্যাদিকে জিএসটির বাইরে রাখা হয়েছে। এইকারণে বিভিন্ন রাজ্যে এগুলির দামের ফারাক ঘটে। এছাড়াও সোনার ওপর ৩% জিএসটি ধার্য করা হয়েছে।

সরকারের আয়ের একটি মূল উৎস হলো কর। জিএসটির মাধ্যমে উপভোক্তার কাছ থেকে কর নিয়ে কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে সমান ভাবে বন্টিত হয় বলে সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এসেছে। আগের মতো ট্যাক্সের ওপর ট্যাক্স চাপেনা বলে উপভোক্তাকেও আগের তুলনায় কম ট্যাক্স দিতে হয়।